বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০১৬

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রাম থেকে কপত কপতি আটক।

 
মুজিবনগর প্রতিনিধিঃ মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রাম থেকে অপ্রিতিকর অবস্থায় দু'জন কপত কপতিকে আটক করেছে বে রশিক গ্রামবাসি।
জানাগেছে গত রাত ১ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এর সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোনাখালি গ্রামের মধ্য পাড়ার গুলনাহার বেগমের ছেলে সজিব একই গ্রামের পৃর্ব পাড়ার আশা মোল্লার মেয়ে সুমাইয়া কে নিয়ে সোমবার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামের তার খালাত বোন জামায় মৃত ভৃলেন মন্ডলের বাড়িতে অবৈধ ভাবে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্য অবস্হান করে। গ্রামের লোকজন টের পেয়ে রাত্রি ১টার দিকে মৃত ভৃলেনের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে। দিনভর বিভিন্ন নাটকের পর মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কাজি কামাল হোসেনের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্হিথিতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে দুজনের বিয়ে দেওয়া হয়।এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার্স ইনচার্য কাজি কামাল হোসেন জানান ছেলে এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াই ছেলে মেয়ে এবং তাদের অভিভাবকদের সম্মতিতে দুজনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বর বধু কে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে দুই ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেফতার


মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে দুই ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাগোয়ান গ্রামের তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন ঐ গ্রামের জালালউদ্দিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৭) ও আনন্দবাস গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে সেন্টু (৩২)। গ্রেফতারকৃতদের আজ দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, হাফিজুল ইসলাম ও সেন্টু নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী। তারা তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাতে এস.আই ইয়ামিন আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানেঅভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে মুজিবনগরে র্যালী ও আলোচনা সভা

মেহেরপুর মুজিবনগরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার বিপ্লব কুমার কুন্ড, উপজেলা সমবায় অফিসার ফসিয়ার রহমান এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন । সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষনার্থীরা র্যালী ও আলোসভায় অংশ নেয়। সভা শেষে ২৪ জন যুবদের মাঝে বিভিন্ন প্রকল্পের ৬লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার যুব ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসান ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মুজিবনগরের দারিয়াপুর গ্রাম থেকে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রাম থেকে সানোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঐ বৃদ্ধার ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই এক দিন আগে গলাই ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী কামাল হোসেন জানান, ৩০ বছর আগে সদর উপজেলার আশারাফপুর গ্রামে ধুলু নামের এক সন্তান নিয়ে স্বামী মোতালেবের
সাথে বসবাস করতেন সানোয়ারা। সন্তানের বয়স দুই বছর হতে না হতেই তাকে তালাক দেয় তার স্বামী। দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন দারিয়াপুর গ্রামে। ছেলের বয়স এখন ৩২ বছর। কিন্তু ছেলে তাকে দেখাশোনা করতেন না। পাড়া প্রতিবেশিরা দেখাশোনা করতেন তাকে। বেশ কিছুদিন আগে তার বাড়ির জমি টুকোও মসজিদকে দান করেছেন। গেল দুই একদিন ধরে তার আর খোঁজ মিলছিল না। সকালের দিকে ঐ বাড়ির সামনে থেকে গন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তারা ঘরের মধ্যে আড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। হতাশা থেকে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ। মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন আলী বলেন, লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধারের সময় লাশ থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। এ কারণে প্রাথমিক আলামতটি ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা অপমৃত্যু মামলা করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এটি হত্যা না অত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান। কমপক্ষে দুই এক দিন আগে মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি। দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী বকুল জানান, ওই মহিলার কোনো শত্রু ছিল বলে জানা নেই। তার ছেলেও অনেকদিন ধরে গ্রামের অন্যপাড়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তিনি আরো বলেন, মহিলা মানসিক রোগী ছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার ধারণা।