রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

বড়দিন : দয়ার বছরকে আগমন জানাতে প্রস্তুত খ্রীস্টিয় ধর্মাবলম্বীরা

No automatic alt text available.
আজ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। খ্রীষ্টিয় ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দিনটিকে ঘিরে গীর্জাগুলোকে সাজানো হচ্ছে নানা উপকরণ দিয়ে। ঈশ্বরের দয়া প্রর্থণা ও সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়ার জন্য গীর্জায় গীর্জায় প্রার্থণা করবেন তারা। মেহেরপুরে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে দিনটিকে উদ্যাপন করবেন বলে মনে করছেন পুরোহিতরা। ২৫ ডিসেম্বর গরিবের গোয়াল ঘরে মা মরিয়মের গর্ভে জন্ম নেয় ঈশা মসিহ। তাঁর আগমনের এ দিনটি নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকেন খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীরা। মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গাংনীর বিভিন্ন খ্রীষ্টান পল্লীতে ১ডিসেম্বর থেকে তোলা হয়েছে তারা ও বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে গোশালা। রাস্তায় রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে তোরন। এছাড়াও যুবক যুবতিরা কীর্তনের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টের বাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন। ২৫ ডিসেম্বর রাত থেকে গির্জায় গির্জায় প্রার্থণার মাধ্যমে বড় দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এছাড়াও আগামী বছরিেটকে দয়ার বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন পোপ। সেই লক্ষে ইশ্বরের কাছে দয়া প্রার্থনা ও সুখি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন তারা। এছাড়াও আলোচনা করা হবে আধ্যাতিক বিভিন্ন বিষয়ের উপর। দিনটিকে ঘিরে খ্রীষ্টীয় ধর্মাবলম্বীরা গির্জায় গির্জায় প্রার্থণাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্মিত গোশালাগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রার্থণা করবেন। বিগত দিনের সকল ভেদাভেদ ভূলে একে
অপরের সাথে মিশে তৈরি করবেন ভ্রাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধন। সবাই আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পার করবেন বলে জানালেন দিপক মন্ডল। লিজা সরকার বলেন, উৎসব উপলক্ষে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া, বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করা, সকলে মিলে মেলায় বেড়াতে যাওয়াসহ আনন্দ ঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি পার করবেন তারা। ইম্মানুয়েল ক্যাথলিক চার্চের ফাদার ডোমেনিক জানান, আগামী বছরটি পোপ দয়ার বছর হিসেবে ঘোষণা করছেন। ইশ্বরের দয়া প্রাপ্তির জন্য প্রার্থণা করবেন তারা। রাত ১২ টা থেকে ইশ্বরের কাছে প্রার্থণার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বড়দিনের কার্যক্রম। এছাড়াও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হবে। পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, বড়দিনকে ঘিরে খ্রীস্টিয়ধর্মীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সার্বক্ষনিত তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। তাছাড়া সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করবে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।