মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭

মুজিবনগরে পুলিশের তাড়া খেয়ে পানিতে ঝাপ ডুবে এক জনের মৃত্যু


মুজিবনগর সংবাদ :::::পুলিশের তাড়া খেয়ে পানিতে ডুবে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামের এক ফল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রসিকপুর গ্রামে পুলিশের তাড়া খেয়ে ভৈরব নদীতে ঝাপিয়ে পড়ার পর সোমবার ভোর ৫টার দিকে স্থানীয়রা ভৈরব নদীর পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে। তার মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
আলমগীর হোসেন ভোলা জেলার ইলিশা জংশন বাজারের আব্দুর রবের ছেলে এবং রসিকপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের বিয়াই ও আমিরুল ইসলামের শশুর । তিনি ঢাকার একজন ফল ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাঝে মাঝে আলমগীর হোসেন ব্যবসায়ীক কাজে রশিকপুর গ্রামে বেয়াই বাড়িতে অবস্থান করতেন তিনি এলাকার সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন তিনি মুজিবনগর এলাকায় আম ও লিচুর বাগান কিনে ব্যাবসা করতেন। গতরাত সাড়ে নয়টার দিকে বেয়াই বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষে রশিকপুর গ্রামের ভৈরব নদীর ধারে মোতালেব হোসেনের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন আর তাস খেলা দেখছিলেন তখন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল তাদের ধাওয়া দেয়।পুলিশের ভয়ে তাস খেলোয়াড়সহ দোকানে বসে থাকা লোকজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন দিশিমিসি না পেয়ে পাশের ভৈরব নদীতে ঝাপ দেয় এসময় নদীথেকে থেকে খোকন ও বাবুকে আটক করে পুলিশ কিন্তু আলমগীরে হদিস মেলেনি। পরে রাত সাড়ে ৩ টা দিকে পুলিশ খোকন ও বাবুকে ছেড়ে দিলে তারা এসে বলে যে আলমগীর নদীতে ঝাপ দিয়েছিল কিন্তু ওঠেনি তখন নদীতে ডুবদিয়ে খোজাখুজি শুরু করে স্হানিয়রা এবং সকাল সাড়ে ৫ টা দিকে তার মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।আলমগীরের বিয়াই আনিছুর খাঁ ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদী থেকে তাদের আটক করার চেষ্টাকালে পুলিশ সেখানে কাউকে যেতে দেয়নি। আলমগীর হয়তো সাঁতার জানতেন না। এ কারণে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান,মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় চায়ের দোকানের লোকজন পুলিশ দেখে পালাতে শুরু করে এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে কিন্তু তাদের কাছে মাদক দ্রব্য ও জুয়া খেলার কোন আলামত না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।আলোমগীর যে ডুবে গেছে পুলিশ তা জানত না সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ হেফাজতে নেয়।পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা এবং ময়নাতদন্তের পরে লাশ তার আত্নীয়সজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সহকারি পুলিশ সুপার আহসান হাবিব জানান আলমগীর পুলিশের তাড়াখেয়ে পানিতে ঝাপ দিয়েছিল কিনা তা তদন্তকরে দেখাহবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন